কুমারশাইল সীমান্তে পুশইনকৃত ১২ রোহিঙ্গাকে থানায় সোপর্দ বিজিবি’র
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২৫, ৮:১৬:২১ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের দেশের অবৈধ নাগরিককে ধারাবাহিকভাবে পুশইন করে যাচ্ছে। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না বিএসএফের অবৈধ পুশইন কার্যক্রম। শুক্রবার রাতে উপজেলার কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে ১২ জন রোহিঙ্গা মুসলমান নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঠেলে দিলে লাতু বিওপির বিজিবির টহল দল তাদেরকে আটক করে শনিবার দুপুরে থানায় সোপর্দ করেছে। এরা সবাই কক্সবাজারের উখিয়া থানার বালুখালি শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। কোনো একসময় শরনার্থী ক্যাম্প থেকে তারা পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে চলে যায়।
আটককৃতরা হচ্ছে- বালুখালি শরনার্থী ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের স্ত্রী মারিয়া খাতুন (৫০), ছেলে মো. রফিক (১২) ও মো. হোসেন (১০), একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী নুর খাতুন (৩০), ছেলে মো. হারেছ (৭), মেয়ে নুর হাবিবা (০৬) ও ছেলে আয়াশ (০৪), মৃত আব্দুস সালামের স্ত্রী সায়েরা খাতুন (৬০), ছেলে তারুক (১৮), মেয়ে সুমিয়া (১০) এবং মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী রামেদা খাতুন (২০) ও মেয়ে রাশেদা বেগম (০৫)।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়ন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত একটার দিকে বিজিবি লাতু বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৩৬৬/৩এস এর আনুমানিক ৭শ’ গজ অভ্যন্তরে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১২ জনের একটি দল অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। এসময় বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তারা সবাই রোহিঙ্গা মুসলমান এবং শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গিয়েছিল।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ জানান, যাচাই-বাচাই শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে আটককৃত ১২ জনই রোহিঙ্গা মুসলমান এবং কক্সবাজারের উখিয়া থানার একটি শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শনিবার দুপুরে আটককৃতদের বড়লেখা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আবুল কাশেম সরকার জানান, শনিবার দুপুরে বিজিবি ১২ জন রোহিঙ্গা মুসলমান নারী-পুরুষ ও শিশুকে থানায় সোপর্দ করেছে। এরা সবাই শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। এদেরকে সংশ্লিষ্ট শরনার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হবে।