যুগান্তকারী উদ্যোগ বটে!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৫:২২ অপরাহ্ন
সরকার শেষ পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধন ও পরিচালনা সংক্রান্ত একটি গাইড লাইন বা নির্দেশনা অনুমোদন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ গাড়িকে ইলেক্ট্রিক করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে একটি গেজেট প্রকাশের পর এই গাইডলাইন কার্যকর হবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বিভাগের কাছে একটি খসড়া গাইডলাইন জমাদানের সাড়ে ৪ বছর পর এ উদ্যোগটি এসেছে। এরপর রোড ট্রান্সপোর্ট এন্ড হাইওয়ে ডিভিশন অভিজ্ঞতা লাভের জন্য ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে ভারতে পাঠায়। গাইডলাইনটি রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট ২০১৮ এর ১২৪ নং ধারা অনুযায়ী গাইড লাইনটি তৈরী করা হয়েছে। গাইড লাইন অনুসারে, ইলেক্ট্রিক অর্থাৎ বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো ইলেকট্রিক চার্জ বা রিচার্জেবল ব্যাটারীর মাধ্যমে এক বা একাধিক ইলেকট্রিক মোটর দ্বারা চালিত হবে। তবে এই ক্যাটাগরীতে ব্যাটারী চালিত রিকশা, ভ্যান কিংবা বাইসাইকেল অন্তর্ভুক্ত হবে না।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক এই গাইড লাইনের বাইরে রয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো ইলেক্ট্রিক বা বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে ইলেক্ট্রিক গাড়ির প্রচলন শুরু হয়েছে। এ ধরনের বিপুল সংখ্যক গাড়ি রাস্তায় নেমেছে। যুক্তরাজ্য কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইউরোপীয় দেশসমূহের মধ্যে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশও ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ গাড়িকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। পরিবেশের স্বার্থে বিশেষভাবে বায়ু দূষণ প্রতিরোধে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরী। আর এটা করা গেলে পরিবহন খাত থেকে ৩.৪ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব হবে। এতে দেশের জনস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। হ্রাস পাবে বায়ুদূষণজনিত মৃত্যু ও রোগব্যাধির প্রকোপ। আমরা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করি জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে গাড়িগুলোকে রূপান্তরে বাড়তি ঝামেলা ও সমস্যা ছাড়াই এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ সফল হবে।