ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষ : গবেষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৯:২২:৩৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০ কোটির বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যা আগের হিসাবের তুলনায় দ্বিগুণ। ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গত ৩০ বছরে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার দ্বিগুণ হয়েছে।গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ১৮ কিংবা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৮২ কোটি ৮০ লাখ ডায়াবেটিক রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা ডায়াবেটিসের “টাইপ-১” কিংবা “টাইপ-২” ধরনে আক্রান্ত। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। এসব দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
ডায়াবেটিস হলো রক্তের শর্করার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় রোগ। এ রোগের চিকিৎসা না নেওয়া হলে হৃৎপি-, রক্তনালী, স্নায়ু ও অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১৪%। অর্থাৎ, ১৯৯০ সালের প্রায় ২০ কোটি মানুষের তুলনায় বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ কোটি। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে আক্রান্তের হার বাড়লেও ওই সব অঞ্চলে চিকিৎসা নেওয়ার হার তেমন একটা বাড়েনি। তবে কিছু উচ্চ আয়ের দেশে অবস্থার উন্নতি হতে দেখা গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত দেশগুলো যেমন জাপান, কানাডা, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কে ডায়াবেটিসের হার কমেছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এটি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গবেষকরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগ ধরা পরার পর সেটির চিকিৎসা খরচের বোঝা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা না হওয়ার বোঝা ক্রমশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ওপর পড়ছে। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তানে ১৯৯০ সালে নারীদের ১০% ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিল। তবে বর্তমানে তা এক-তৃতীয়াংশে পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসার অভাবের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা হার্টের সমস্যা, কিডনির ক্ষতি, দৃষ্টিশক্তি হারানো এবং কখনো মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। এনসিডি রিস্ক ফ্যাক্টর কোলাবোরেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে। এটি প্রথম কোনো বৈশ্বিক বিশ্লেষণ, যেখানে সব দেশের আক্রান্তের হার এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এক হাজারের বেশি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে। ওই এক হাজারের বেশি গবেষণায় কোনো না কোনোভাবে ১৪ কোটির বেশি মানুষ জড়িত ছিলেন।