বিশ্বনাথে দোকানের ভাড়া চাওয়ায় মালিকের উপর হামলার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ৮:৪৪:৩০ অপরাহ্ন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর শহরের পুরাণবাজারস্থ নিজ মার্কেটের দোকান ভাড়া চাইতে গিয়ে ভাড়াটিয়ার হামলার শিকার হয়েছেন এমরান আহমদ লিটন (২০) নামের এক দোকান মালিক। ভাড়াটিয়ার হামলায় গুরুতর আহত হওয়া দোকান মালিক এমরান আহমদ লিটন পৌরসভার পূর্ব মন্ডলকাপন গ্রামের মৃত শাহ আরমান আলীর পুত্র। রক্তাক্ত আহত লিটন বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় দোকানের ভাড়াটিয়ার ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
হামলার ঘটনায় আহত লিটনের চাচাতো ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দোকানের ভাড়াটিয়ার ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন পৌরসভার সুড়িরখাল গ্রামের হারিছ আলীর পুত্র।
মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন-পৌরসভার সুড়িরখাল গ্রামের হারিছ আলীর পুত্র আলাউদ্দিন, নিজামউদ্দিন, একই গ্রামের মৃত ফুলকাছ আলীর পুত্র রহিমউদ্দিন, নূরউদ্দিন, হেলালউদ্দিন, হেলালউদ্দিনের পুত্র আলী হোসেন, আলাউদ্দিনের পুত্র আবুল কাশেম, রহিমউদ্দিনের পুত্র আলমাছ আলী। এছাড়া মামলায় আরোও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্বনাথ পৌর শহরের পুরাণবাজার এলাকাস্থ ‘আরমান আলী ম্যানশনের’ মালিক এমরান আহমদ লিটন দোকানের ভাড়া তুলতে যান ভাড়াটিয়া রহিম বাদার্সের পরিচালক রহিমউদ্দিনের কাছে। এসময় রহিমউদ্দিন দোকানের ভাড়া না দিয়ে দোকান মালিক লিটনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে লিটনকে গণধোলাই দেন রহিমউদ্দিন ও তারপক্ষের লোকজন। লিটনকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা লিটনকে গুরুতর জখমি অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আহত লিটন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন আহত লিটনের চাচাতো ভাই ও মামলার বাদী জয়নাল আবেদীন।
থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রুবেল মিয়া বলেন, লিটনের উপর হামলার ঘটনায় গিয়ামউদ্দিন নামের এজহারনামীয় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।