শেওতচোরা বিলে মাছ লুটপাটের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:১৩:১৪ অপরাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাটের শেওতচোরা বিলের মাছ জোরপূর্বক লুটপাটের অভিযোগ করেছেন ঝিঙ্গারখাল মৎসজীবি সমবায় সমিতির নেতারা। বুধবার সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর এক স্মারকলিপিতে এ অভিযোগ করেন তারা।
এতে মাছ লুটপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে- পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে জালাল উদ্দিন, মশাহিদ আলী ওরফে কটাই, মো. নাসিম, কানাইঘাটের আমরপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল খালিককে।
অভিযোগে মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি সুনা উল্লাহর ছেলে জিয়াউর রহমান উল্লেখ করেছেন, কানাইঘাটের বড়হাওরের মধ্যে থাকা শেওতচোরা জলমহালটি ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ইজারামূল্য হিসেবে ঝিঙ্গারখাল মৎস্যজীবি সমিতি ১৪২৯ বাংলা থেকে ১৪৩১ বাংলা সনের চৈত্র মাস পর্যন্ত ইজারা নেন। সেই হিসেবে বর্তমানেও এ জলমহালটি ইজারায় রয়েছে। ইতিমধ্যে পরবর্তী দুই বছর অর্থাৎ ১৪৩০ ও ১৪৩১ সনের ইজারা মূল্য সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় এলাকার সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি জালাল উদ্দিন, মোশাহিদ আলী কটাইসহ লোকজন গত ৮ ডিসেম্বর থেকে একাধিকবার মৎস্যজীবিদের সংরক্ষণে থাকা জলমহালে ঢুকে জোরপূর্বক মাছ লুটের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে মৎস্যজীবিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানান তিনি।
এদিকে, এর আগে এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন জিয়াউর রহমান। পুলিশ এ অভিযোগের তদন্ত করছে। এর আগে ওই জলমহালে মাছ লুটের ঘটনায় জালালউদ্দিন ও তার চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। বিজ্ঞপ্তি