পরিবারের আপত্তিতে তোলা হয়নি ৫ আগস্ট নিহত তারেকের লাশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:১১:৫৩ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি: গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ছাত্র জনতার উল্লাসের সময় বিয়ানীবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত তারেক আহমদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা যায়নি। আদালতের নির্দেশ মেনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণীর নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মুস্তফা মুন্নার নেতৃত্বে একদল পুলিশ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের আপত্তির মুখে লাশ উত্তোলন না করে ফিরে আসেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের কটুখালিপার তারেকের কবরের পাশে যান তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট সহ বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ছবেদ আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, থানা পুলিশের সদস্য ও শহীদ তারেক আহমদের পরিবারের সদস্যরা। লাশ উত্তোলন না করে পরিবারের মতামতের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে বলে জানান তারা।
গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ তারেক আহমদের লাশ ৬ আগস্ট ভোর রাতে পরিবারের সদস্যরা বিয়ানীবাজার থানা এলাকার একটি ঝোপের মধ্যে পেয়েছিলেন। সে সময় পরিস্থিতি প্রতিকুল থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া ৬ আগস্ট জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ সমাহিত করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ পালন করতে শহীদ তারেক আহমদের মরদেহ উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ উত্তোলন না করার বিষয়টি জানান তারেক আহমদের ছোট ভাই। এ সময় তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় স্বজনদের সবার মতামত শহীদ তারেকের লাশ উত্তোলন যেন না করা হয়। লাশ উত্তোলন করা হলে শহীদ তারেক আহমদের আত্মা কষ্ট পাবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, শহীদ তারেক আহমদের পরিবার চাচ্ছে না তাঁর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হোক। আমি শহীদের মায়ের সাথে আলাপ করেছি, তিনি তাদের মতামত আমাকে জানিয়েছেন। এ বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়া মেনে আদালতকে অবহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, তারক আহমদ নিহত হওয়ার ঘটনায় গত ২০ আগস্ট বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন মাতা ইয়ারুন নেছা। মামলা দায়েরের দুইদিন পর তিনি আদালতে মামলা প্রত্যাহারেরও আবেদন করেন। এমামলায় আটক হয়েছিলেন চারখাই ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ চৌধুরী, বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।