কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন নিয়ে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মার্চ ২০২৫, ৭:৩০:০৮ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলার মাজার সংলগ্ন কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ পক্ষের প্রায় ৬ জন ও সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১ জন আহত হয়েছেন। রোববার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হুশিয়ার আলী, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল করিম, মাসুক মিয়া, আবুল হোসেন, আব্দুর রহিম, রমজান আলী। তাদের মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হন বাবুলনগর গ্রামের জুয়েল আহমদ। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে শাহ আরেফিন টিলার মাজার মাঠ মসজিদ ও কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন চলছে। এসব জায়গা থেকে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে জালিয়ারপাড় ও শাহ আরেফিন বাজার এলাকায় বেশ কয়েকবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রোববার সকালে শাহ আরেফিন টিলার কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করতে শুরু করেন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হুশিয়ার আলী ও বশর মিয়া গ্রুপ। এর আগে তারা মাজার মসজিদ মাঠ ও কবরস্থানের বেশিরভাগ জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন করে বিলীন করে দিয়েছেন। কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলনে জালিয়ারপাড়ের মাসুক মিয়ার মাধ্যমে বাধা প্রদান করেন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল করিমসহ জালিয়ারপাড় গ্রামের মুরব্বিরা। এতে হুশিয়ার আলী ও বশর মিয়া গ্রুপ ক্ষিপ্ত হয়। এদিন সন্ধ্যার পর মাসুক মিয়া শাহ আরেফিন বাজারে গেলে তার উপর চড়াও হয় হুশিয়ার-বশর গ্রুপ। এর কিছুক্ষণ পর আব্দুল করিমসহ অন্যরা বাজারে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে আব্দুল করিম, আবুল হোসেন, হুশিয়ার আলী ও জুয়েল আহমদকে সিলেটে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সংঘর্ষের সময় বশর মিয়া পেলুডার দিয়ে বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেন। পরে স্থানীয় মুরব্বি ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারামারি বন্ধ করতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ঐ এলাকায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।