পর্যটক ঢলে মুখর সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ৩:৫১:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: এবারও ঈদ উপলক্ষে সিলেটে নেমেছে পর্যটকের ঢল। এতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন স্পটগুলো ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সিলেটের প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। স্বপরিবারে ঈদের আনন্দ উপভোগ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। পাহাড়, স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর পাথরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সিলেটে এখন কয়েক লাখ পর্যটক।
বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথরে ছুটে এসেছেন গাজীপুরের এই তরুণরা। মুগ্ধতা নিয়েই উপভোগ করছেন এখানকার সৌন্দর্য।
পর্যটকদের একজন বলেন, ‘প্রত্যেক বছরই এই ঈদের সময়ে আমরা ঘুরতে আসি। এই সময় সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যায়।
আরেকজন বলেন, ‘বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করা আমাদের মেইন বিষয়।
সাদা পাথরে বয়ে যাওয়া ধলাই নদী বাংলাদেশ ও ভারতকে আলাদা করেছে। দুই পাড়ে সারি সারি সাদা রঙের পাথর। ওপরে নীল আকাশ আর তার ঠিক নিচে সবুজ পাহাড় বরাবরই পর্যটকদের মুগ্ধ করে। তাইতো যে কোন ছুটিতেই জনারণ্যে পরিনত হয় এই এলাকা।
পর্যটকদের আরেকজন বলেন, ‘জায়গাটা অনেক সুন্দর সাদা পাথরে না আসলে বুঝা যায় না।
ঈদের প্রথম দিন থেকে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে কয়েক লাখ পর্যটক এসছেন বলে জানান ব্যাবসায়ীরা। এতে গতি বেড়েছে স্থানীয় অর্থনীতির।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে মানুষ ভালো আসছে। ব্যবসা ভালো হচ্ছে।’
এবার সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ছাড়াও জাফলং, লালাখাল ও চা বাগানগুলোতে আশানুরুপ পর্যটক এসেছেন বলে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া সাইফুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে ও কেন্দ্রগুলোর বাইরে পুলিশের টহল সব সময় আছে। কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে অবহিত করলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে সাদাপাথর এলাকায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার গণমাধ্যমে বলেন, পর্যটন কেন্দ্রে আসা মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুব্যবস্থা নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এখানকার থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন। ঈদের মৌসুম হওয়ার কারণে আমরা ১২ জন আনসার মোতায়েন করেছি, সেই সঙ্গে থানা পুলিশের একটি টিম এখানে কাজ করছে। পর্যটকদের গাড়ি পার্কিং এরিয়াতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করেছে। নৌঘাট থেকে প্রায় দেড় হাজার নৌকা পর্যটন স্পটে গিয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চারদিকেই বিরাজ করছে উৎসবের আবহ।