মাধবপুরে ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মূল অর্থনৈতিক শুমারি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:২৭:২৪ অপরাহ্ন
মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নকে ০৫টি জোনে অর্থনৈতিক শুমারি বিভক্ত করা হয়েছে। এই ০৫টি জোনের বিভিন্ন ভেন্যুতে একযোগে ০৫ ডিসেম্বর থেকে গণনাকারী এবং সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
সারা দেশে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে অর্থনৈতিক শুমারি শুরু হবে। ১৫ দিনব্যাপী এই শুমারি চলবে থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪’-এর মূল তথ্য সংগ্রহ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর শুমারি করে থাকে সংস্থাটি। মাধবপুর উপজেলার অর্থনৈতিক শুমারিতে ৫টি জোনে মোট ১৩৭ জন তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন। এছাড়া সুপারভাইজার ২৮জন, আইটি সুপারভাইজার ৫ জন, জোনাল অফিসার ৫ জন, উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী ১ জন ।
এবারের অর্থনৈতিক শুমারিতে ৭০টি প্রশ্ন রয়েছে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের শুমারিতে প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত আছেন এবং নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।
মাধবপুরে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ জান্নাতুল বাকী জানান, অর্থনৈতিক শুমারি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিবিএসর সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সদস্য এবং স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে শুমারির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে আমরা দেশের প্রকৃত আর্থিক চিত্র তুলে ধরতে চাই, যা ভবিষ্যতে নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়ে জোনাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ এবং তালিকাকারীদের প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রচার ও অন্যান্য কার্যক্রমও শেষ করা হয়েছে।
মাধবপুরে জোনাল অফিসার কৃষ্ণদেবনাথ বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।