কেমুসাস বইমেলায় উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৫৮:০৭ অপরাহ্ন
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি প্রফেসর নন্দলাল শর্মা বলেছেন, বক্তৃতা একটি শিল্প। যে যত বেশি অনুশীলন করে সে তত সুন্দর ও গোছালোভাবে বক্তৃতা দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে গুছিয়ে কথা বলার বিকল্প নেই। যেকোনো বিষয়ে নিজে নিজে বক্তব্য দেওয়া এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার মাধ্যমে নিজের মধ্যে আত্মবিশ^াস তৈরি হবে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর উদ্যোগে অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলায় ‘ক’ ও ‘খ গ্রুপের উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মাসিক আল ইসলাহ সম্পাদক ও বইমেলা উপকমিটির আহ্বায়ক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস-এর সভাপতিত্বে সোমবার বিকাল ৩টায় বইমেলা প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আউয়াল, পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের। বিচারক হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক কবি নাজমুল আনসারী, বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিতার্কিক আজহার উদ্দিন খান। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আদিল আহমদ। প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের অধীনে ৭ম শ্রেণি থেকে কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। ‘ক‘ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন : প্রথম-মাহমুদুল হাসান, দ্বিতীয়-যৌথভাবে আফ্রিদা রহমান ও রিয়াসা জাহান নুহা এবং তৃতীয়-মোঃ সাওবান সাবিত। ‘খ’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন: প্রথম-মাশহুদ আল হাবিব, দ্বিতীয়-যৌথভাবে রেজওয়ানুল হক শাকির ও নাঈম বিন নিজাম এবং তৃতীয়-হাফিজ মিসবাহ উদ্দিন খান।
সভাপতির বক্তব্যে সংসদের বইমেলা উপকমিটির আহ্বায়ক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস বলেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য কবি-সাহিত্যিক-লেখক এবং চিন্তক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের মাঝে বাগ্মিতার গুণাবলি সৃষ্টির লক্ষ্যে উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন করে থাকে। ভবিষ্যতে যাতে তারা কর্মক্ষেত্রে চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে। বিজ্ঞপ্তি