সর্বোচ্চ ফিতরা ৫৯৫০ এবং সর্বনিম্ন ১০০ টাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২৫, ৮:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন
প্রতিবারের ন্যায় এবারও সিলেট নগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার ‘দারিদ্র বিমোচনে যাকাত-ফিৎরার ভূমিকা ও স্থানীয় ভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ’ শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয়ভাবে ফিৎরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাদ যোহর সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সর্বোচ্চ ফিতরা ৫৯১০ এবং সর্বনিম্ন ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ. মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আতাউল হক জালালাবাদী।
মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, শাইখুল হাদীস আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা ইকবাল হুসাইন, গাজী রহমত উল্লাহ, মাওলানা শাহ মমশাদ, মুফতি আবু সালেহ মোঃ কুতবুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ এহসান উদ্দিন, মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলয়াস, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা এমরান আলম, হাফিজ মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ, মুফতি জিয়াউর রহমান, মাওলানা মনজুরে মাওলা, হাফিজ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরী।
মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান শাহজাহান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা বলেন, যাকাত ইসলামের মৌলিক বিধান। এ বিধানকে লংঘন করা মারাত্মক অপরাধ। দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। বিশ্বে অনেক দেশে যাকাতভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতি পরিচালিত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশে প্রতি বছর সঠিকভাবে যাকাত উত্তোলন করলে বছরে ১১৫০০০ হাজার কোটি টাকা যাকাত উত্তোলন হবে। যা দেশের মূল বাজেটের বৃহৎ একটি অংশ।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখা এবারের সেমিনারে সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুফতীয়ানে কেরাম, উলামা মাশায়েখ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ও ইমাম-খতিবগণের সাথে আলোচনাক্রমে ও সিলেট নগরীর বিভিন্ন খুচরাবাজার যাচাই করে ৬০ টাকা হিসাবে আটা ১৬৫০ গ্রামের মূল্য ১০০ টাকা ও খেজুর (নি¤œ) ২৫০ টাকা দরে ৩৩০০ (এক সা’) গ্রামের মূল্য ৮২৫ টাকা, কিসমিস ৭০০ টাকা হিসাবে ২৩১০ টাকা ও পনির ১০০০ টাকা বাজার দরে ৩৩০০ টাকা এবং মেডজুল এ গ্রেড খেজুর ১৮০০ টাকা হিসাবে ৫৯৫০ টাকা নির্ধারণ করে ফিৎরার ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি